সুজন কৈরী: [২] জব্দ কোকেনের মূল্য প্রাায় ১০০ কোটি টাকা। আফ্রিকার দেশ মালাও-এর এক নারী ৮ কেজি ৩০০ গ্রামের এই কোকেনের চালানটি বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।

[৩] বুধবার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এই কোকেনের চালান জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় মালাও এর বাসিন্দা নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোকে (৩৫)। 

[৪] ব"হস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএনসির পরিচালক (অপারেশন)  তানভীর মমতাজ জানান, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকোর গতিবিধি পর্যবেণ করে সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

[৫] জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন তার লাগেজে অবৈধ মাদকদ্রব্য কোকেন আছে। পরে লাগেজের ভিতরে বিশেষভাবে রাখা ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়। 

[৬] তানভীর মমতাজ জানান, নোমথেনডাজো তাওয়েরা সোকো মালাও-এর নাগরিক। তিনি প্রথমে মালাও থেকে ইথিওপিয়া যান। পরে তিনি ইথিওপিয়া থেকে যান দোহাতে। সেখান থেকে কাতারের এয়ারলাইন্সের একটি ফাইটে বাংলাদেশে আসেন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি তার বাংলাদেশ থেকে আবারও মালাও যাওয়ার কথা ছিল। কোকেনের এই চালানটি বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করার কথা ছিল। পরে বাংলাদেশ থেকে কোকেনের চালানটি অন্য কোনো দেশে চলে যেতো। আমাদের ধারণা তাওয়েরা সোকো কোকেনের এই চালানটি মালাও থেকে নয়তো ইথিওপিয়া থেকে সংগ্রহ করেছে।

[৭] জিজ্ঞাসাবাদে সোকো জানান, ২০২৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একবার গার্মেন্টস ব্যবসার কথা বলে এসেছিলেন। এবারও তিনি বাংলাদেশের একটি গার্মেন্টসের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে আসেন। অন এ্যারাইভাল ভিসা নিতে তিনি তার পরিচয় লুকিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসার নাম করে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। 

[৮] সোকো পেশায় একজন নার্স। তিনি মূলত কোকেনের এই চালানের বহনকারী। বাংলাদেশে তিনি আরেক বিদেশি নাগরিকের কাছে এই চালান পৌঁছে দিয়ে নিজ দেশে চলে যাওয়ার কথা ছিল। 

[৯] বাংলাদেশে সোকো কার কাছে কোকেন হস্তান্তর করতেন জানতে চাইলে তানভীর মমতাজ বলেন, আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। তবে বাংলাদেশে অব¯'ানরত কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই কোকেন যাওয়ার কথা ছিল। আমরা একজন বিদেশিকে সন্দেহ করছি। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চা"িছ না। আমরা আশা করি চক্রটিকে ধরতে পারব। 

[১০] কোকেনের এই আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কেউ জড়িত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোকেনের চালানের সঙ্গে দেশি এবং বিদেশি চক্র জড়িত আছে। এই চক্রটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী